लेख
পরমানু বিদ্যুত ও জীবনের নিরাপত্তা
লক্ষ লক্ষ মানুষকে চেরনবিলের আশপাশ থেকে সরাতে হয়েছে। ওই সরানোর কাজ সরকার কয়েক দিনের মধ্যে সেরে ফেলছিল। ফুকুসিমার পর জাপান সরকারও তাই করেছিল। আমি জানি না ভারতের কোনও পরমাণু কেন্দ্রে যদি কোনও দিন দুর্ঘটনা ঘটে ফুকুসিমা বা চেরনবিলের মতো, তাহলে স্থানীয় মানুষের কি দুর্দশা হবে। দুর্ঘটনা হলে তাকে মোকাবিলা করার কোনও ব্যবস্থা আমাদের দেশে আছে কিনা আমার জানা নেই। তামিলনাড়ুর কুড়ানকুলামে যেখানে পরমাণু কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে তা সুনামি প্রবণ অঞ্চল। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় কি রকম হতে পারে তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। তাছাড়া পরমাণু কেন্দ্র থেকে বর্জ্য জল থেকে দূষণের ফলে সমুদ্র থেকে মাছ সংগ্রহ করে যে সব মত্স্যজীবীরা বহুকাল থেকে জীবন ধারণ করছেন তাদের জীবিকা বিপর্যস্ত হবে।
জীবনে নিরাপত্তার সমস্যা – প্রথম প্রশ্ন
(জীবনের পরিবেশ, ১৬ই জুলাই ২০১২, গ্রীন সার্কল অফ ইন্ডিয়া, ৫২ / ডি / ৭ বাবু বাগান লেন কলিকাতা – ৩১)