তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইন - 2005


সংসদের এই আইন 15 -ই জুন, 2005 তারিখে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রাপ্ত হয় এবং ভারতীয় গেজেট, একষ্ট্রা অর্ডিনারিতে সাধারণের অবগতির নিমিত্ত প্রকাশিত হয়।

কেন্দ্রীয় 22 নং আইন, 2005

এই আইনে জন কর্ত্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রনে থাকা তথ্যে নাগরিকগণের অধিকার প্রাপ্ত হইবার ও ব্যবহারের অধিকারের প্রকৃত মাত্রা বিধিবদ্ধ করা হইয়াছে। ইহার উদ্দেশ্য প্রত্যেক জন কর্ত্তৃপক্ষের কাজে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার উন্নতি ঘটানো, কেন্দ্রীয় তথ্য আয়োগ ও রাজ্য তথ্য আয়োগ স্থাপন এবং তত্সম্পর্কিত বা তত্সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নির্দিষ্ট করা।

 

তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইন - 2005

(এই বইয়ের অন্যান্য অধ্যায়গুলি পড়ার জন্য দয়া করে প্রতিবেদনটির লিঙ্ক-এর ওপর ক্লিক করুন।)

ক্রম

অধ্যায়

1

তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইন - 2005

2

বই : তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইন, ২০০৫

3

পশ্চিমবঙ্গ তথ্য - অধিকার নিয়মাবলী, 2006

4

প্রথম তফশীল

 

যেহেতু ভারতীয় সংবিধান ভারতকে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র রূপে রূপরেখা দিয়াছে এবং যেহেতু গণতন্ত্রের যথাযথ কার্যকারিতার জন্য সচেতন ও ওয়াকিবহাল নাগরিক ও তথ্যের স্বচ্ছতা নিত্যন্ত প্রয়োজন, এবং দুর্নীতি নিরোধ সুনিশ্চিত করনের দ্বারা শাসিতের নিকট শাসকবর্গকে ও তাহাদের কার্য সহায়ক পরিকাঠামোকে দায়বদ্ধ করা প্রয়োজন এবং যেহেতু ব্যবহারিক ক্ষেত্রে জনস্বার্থ ও সরকারী কর্ম দক্ষতা ও সীমিত রাজস্বের সর্বোত্কৃষ্ট ব্যবহার এবং স্পর্শ কাতর সংবাদের গোপনীয়তা বজায় রাখার সঙ্গে তথ্যের প্রকাশের সংঘাত খুবই স্বাভাবিক, এবং যেহেতু গণতান্ত্রিক আদর্শের, অগ্রাধিকার বজায় রাখিয়া পরস্পর বিরোধী এই বিষয়গুলির সমন্বয় ঘটানো প্রয়োজন, সেই হেতু যে সকল নাগরিকগণ কোন তথ্য পাইতে উচ্ছুক, তাহাদের সেই তথ্য পাইবার অধিকার আইন মোতাবেক প্রতিষ্ঠা করা বিধেয় বিবেচনা করিয়া ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের 56 তম বর্ষে নিমম্নলিখিত আইনটি প্রণীত হইল।

অধ্যায় - 1
প্রারম্ভিক



ধারা (1) এই আইন তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইন 2005 নামে পরিচিত হইবে।

(2) ইহা জম্মু ও কাশ্মীর বাদে সমগ্র ভারতে প্রযোজ্য।

(3) এই আইনের 4র্থ ধারার (1) উপধারা, 5ম ধারার (1) এবং (2) উপধারা, 12, 13, 15, 16, 24, 27 এবং 28 নং ধারা অবিলম্বে এবং অন্য ধারাগুলি আইনটির প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে 120 তম দিন হইতে কার্যকরী হইবে।

2. এই আইনে বিষয়ক্রমে অথবা প্রসঙ্গক্রমে ভিন্ন প্রকার দ্যোতনা না থাকিলে -

(ক) (1) নির্দিষ্ট সরকার বলিতে – যে সকল জনকর্ত্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় সরকার বা কেন্দ্রীয় আঞ্চলিক কর্ত্তৃপক্ষ দ্বারা স্থাপিত বা গঠিত বা যাহারা সরকারি মালিকানার অধীন বা সরকার নিয়ন্ত্রিত অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে অর্থ সংস্থানে পরিচালিত, তাহাদের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে,

(2) যে সকল জনকর্ত্তৃপক্ষ রাজ্য সরকার দ্বারা স্থাপিত, গঠিত বা নিয়ন্ত্রিত অথবা রাজ্য সরকারের মালিকানার অধীন অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজ্য সরকারের অর্থ সংস্থানে পরিচালিত সেই ক্ষেত্রে সেই রাজ্য সরকারকে, বুঝান হইয়াছে।

(খ) ‘কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন’ বলিতে এই আইনের 12 ধারার (1) উপধারায় গঠিত কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনকে বুঝাইবে।

(গ) ‘কেন্দ্রীয় জনতথ্য আধিকারিক’ বলিতে 5 ম ধারার (1) উপধারা অনুসারে নিযুক্ত কেন্দ্রীয় জন তথ্য আধিকারিক বুঝায়। অধিকন্তু 5 ম ধারার (2) উপধারার কথিত ‘সহকারী কেন্দ্রীয় জনতথ্য আধিকারিক’ ও ইহার অন্তর্ভুক্ত।

(ঘ) ‘প্রধান তথ্য কমিশনার’ ও তথ্য কমিশনার বলিতে 12 নং ধারার (10) উপধারা অনুসারে নিযুক্ত প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারকে বুঝাইবে।

(ঙ) ‘যোগ্য কর্ত্তৃপক্ষ’ বলিতে বুঝায় —

(1) লোকসভা, বিধানসভা বা কেন্দ্র শাসিত রাজ্যের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ অর্থাত স্পিকারকে এবং রাজ্যসভা ও বিধান পরিষদের ক্ষেত্রে ইহার সভাপতিকে অর্থাত চেয়ারম্যানকে,

(2) উচ্চতম ন্যায়ালয়ের ক্ষেত্রে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে,

(3) উচ্চ বিচারালয়ের ক্ষেত্রে উহার প্রধান বিচারপতিকে,

(4) সংবিধান দ্বারা বা সংবিধান অনুসারে প্রতিষ্ঠিত বা গঠিত অন্যান্য সংস্থা বা কর্ত্তৃপক্ষের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিকভাবে রাষ্ট্রপতি অথবা রাজ্যপালকে, এবং

(5) সংবিধানের 239 ধারা অনুসারে নিযুক্ত প্রশাসককে

(চ) ‘তথ্য’ বলিতে যে কোন প্রকারের প্রাসঙ্গিক বস্তু বুঝাইবে — যথা, নথি, দলিল, স্মারকলিপি, ই-মেইল, মতামত, উপদেশ, সংবাদলিপি, প্রচার বিজ্ঞপ্তি, আদেশনামা, লগবই, চুক্তিপত্র, প্রতিবেদন, তথ্যপূর্ণ পত্র, নমুনা, মডেল, ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে রক্ষিত তথ্য এবং কোন বেসরকারী সংস্থা সম্পর্কিত এমন কোন তথ্য যাহা কোন জন- কর্ত্তৃপক্ষ কোন চালু আইন অনুসারে ব্যবহার করিতে পারেন।

(ছ) নির্ধারিত অর্থে এই আইনের অধীনে সরকার বা যোগ্য কর্ত্তৃপক্ষ দ্বারা প্রণীত নিয়মাবলী দ্বারা নির্ধারিত বুঝিতে হইবে।

(জ) জনকর্ত্তৃপক্ষ (Public authority) বলিতে বুঝায় সেই সকল কর্ত্তৃপক্ষ, সংস্থা বা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানকে যেগুলি

(1) সংবিধানের দ্বারা বা সংবিধান অনুসারে স্থাপিত বা গঠিত !

(2) লোকসভার দ্বারা প্রণীত অন্য কোন আইন অনুসারে স্থাপিত বা গঠিত ;

(3) রাজ্য বিধানসভা কর্ত্তৃক প্রণীত অন্য কোন আইন অনুসারে স্থাপিত বা গঠিত ;

(4) সংশ্লিষ্ট সরকারের প্রজ্ঞাপনে বা আদেশনামা অনুসারে স্থাপিত বা গঠিত ; এবং

(1) সরকারি মালিকানা দ্বারা, সরকার নিয়ন্ত্রিত বা প্রধানতঃ সংশ্লিষ্ট সরকার কর্তৃক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পদত্ত অর্থে পুষ্ট ও পরিচালিত সংস্থা

(2) প্রধানত : সরকারি অর্থে পরিচালিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান

(ঝ) নথি (Read) অর্থে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বুঝায়

(1) কোন দলিল, পান্ডুলিপি ও ফাইল ;

(2) যে কোন মাইক্রো ফিল্ম, মাইক্রোফিসে এবং দলিলের অবিকল প্রতিরূপ ;

(3) মাইক্রোফিল্মে রক্ষিত এক বা একাধিক প্রতিচ্ছবির পুনরুত্পাদন (পরিবর্দ্ধিত হউক বা নাই হউক) ; এবং

(4) কম্পিউটার বা অন্য যে কোন পদ্ধতিতে সৃষ্ট যে কোন প্রাসঙ্গিক বস্তু

(ঞ) তথ্যের অধিকার বলিতে এই আইন অনুসারে যে তথ্য কোন জনকর্ত্তৃপক্ষের (বা পাবলিক অথরিটি) নিকট সুলভ বা তাহার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তথ্যের প্রাপ্তির অধিকারকে বুঝায় এবং নিম্নোক্ত অধিকারগুলিও তাহার অন্তর্ভুক্ত—

(1) কোন কার্য, দলিল বা নথি পরিদর্শন ;

(2) নোট নেওয়া, অংশের উদ্ধৃতি নেওয়া অথবা কোন দলিল বা নথির প্রত্যয়িত প্রতিলিপি নেওয়া ;

(3) মালমশলার প্রত্যয়িত নমুনা সংগ্রহ

(4) যেখানে তথ্য কম্পিউটার বা অন্য কোন পদ্ধতিতে রক্ষিত, সেখানে ডিস্কেট, ফ্লপি, টেপ, ভিডিও ক্যাসেট বা অন্য কোন প্রকারের ইলেকট্রনিক পদ্ধতি বা প্রিণ্ট আউটের মাধ্যমে সেই তথ্য গ্রহণ।

(ট) ‘রাজ্য তথ্য কমিশন’ বলিতে এই আইনের 15 ধারার (1) উপধারা অনুসারে গঠিত রাজ্য তথ্য কমিশনকে বুঝান হইয়াছে।

(ঠ) ‘রাজ্য প্রধান তথ্য কমিশনার’ এবং রাজ্য তথ্য কমিশনার বলিতে এই আইনের 15 নং ধারার (1) উপধারা মতে নিযুক্ত রাজ্য প্রধান তথ্য এবং রাজ্য তথ্য কমিশনারকে বুঝান হইয়াছে।

(ড) রাজ্য জন তথ্য আধিকারিক (এস.পি.আই.ও) বলিতে এই আইনের 5 ধারার (1) উপধারায় উল্লিখিত এই পদনামধারিকে বুঝান হইয়াছে এবং এই আইনের 5 ধারার (2) উপধারায় রক্ষিত রাজ্য সহকারী জনতথ্য আধিকারিক ও ইহার অন্তর্ভুক্ত।

(ঢ) তৃতীয় পক্ষ বলিতে যে নাগরিক তথ্যের জন্য অনুরোধ জানাইয়াছেন, তিনি ব্যতীত কোন জন-কর্ত্তৃপক্ষ (পাবলিক অথরিটি) সমেত যে কোন ব্যক্তিকে বুঝাইতে পারে।

অধ্যায় - 2


3. এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, সকল নাগরিকের তথ্য পাইবার অধিকার আছে।

4. নিম্নলিখিত কার্যগুলি প্রত্যেক জনকর্ত্তৃপক্ষের অবশ্য কর্ত্তব্য। যথা -

1 (ক) প্রত্যেক জন কর্ত্তৃপক্ষ (পাবলিক অথরিটি) ইহার নথিগুলিকে (রেকর্ড) এমনভাবে যথাযথ তালিকা সহকারে প্রস্তুত ও সূচিবদ্ধ করিবেন যাহাতে এইগুলি এই আইন অনুসারে তথ্যের অধিকার প্রয়োগের সহায়ক হয় এবং তাঁহারা ইহা নিশ্চিত করিবেন যে যেসকল নথি কমপিউটার ভুক্ত করা সঙ্গত, সেগুলি অর্থের যোগান সাপেক্ষে যথাসময়ে কমপিউটার ভুক্ত করা হয় এবং সারা দেশে কমপিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন কমপিউটার সিস্টেমের সহিত প্রণালিবদ্ধ হয় ও এই তথ্য ব্যবহারের অধিকারের সহায়ক হয়।

(ক) এই আইন কার্যকরী হইবার 120 দিনের মধ্যে প্রত্যেক জন কর্ত্তৃপক্ষ (পাবলিক অথরিটি) নিম্নোক্ত বিষয়গুলি প্রকাশ করিবেন – যথা

(1) ইহার কার্যাবলী, কর্ত্তব্য, ও সংগঠনের খুঁটিনাটি বিবরণ

(2) ইহার আধিকারিক ও কর্মচারীবর্গের ক্ষমতা ও কর্ত্তব্য -

(3) সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি ও পর্যবেক্ষন প্রণালী ও দায়বদ্ধতার বিবরন।

(4) ইহার কর্ত্তব্য সম্পাদনের নিমিত্ত স্থিরীকৃত নিয়মাচার ও মান

(5) ইহার যে সকল নিয়মাবলী, প্রনিয়ম (রেগুলেশন), নির্দেশিকা, সারগ্রন্থ (ম্যানুয়াল), নথি আছে বা ইহার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অথবা যাহা ইহার কর্মচারীবর্গ স্বীয় কার্য সম্পাদনে ব্যবহার করেন ;

(6) কোন কোন শ্রেণীর দলিল ইহার নিকট বা ইহার নিয়ন্ত্রণে আছে, তাহার বিবরণ।

(7) ইহার নীতি নির্দ্ধারণ ও তাহা কার্যে রূপান্তর করার ব্যাপারে জনসাধারণের বা তাহাদের প্রতিনিধিদের সহিত আলোচনার ব্যবস্থার বিশদ বিবরণ।

(8) দুই বা ততোধিক সভ্য লইয়া ইহার অংশ হিসাবে গঠিত উপদেষ্টা পর্ষদ, সংসদ, সীমিতি বা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ বিবরণ। ইহাদের আলোচনা সভ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত কিনা এবং তাহাদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি সকলে পাইতে পারেন কিনা, তাহাও উল্লেখ্য।

(9) ইহার আধিকারিক ও কর্মচারীবর্গের একটি নামপঞ্জি ( ডাইরেক্টরী )

(10) প্রত্যেক আধিকারিক ও কর্মচারীর মাসিক পারিশ্রমিক ও ইহার প্রাণয়মে (রেগুলেশন) বর্ণিত ক্ষতিপূরণ পদ্ধতি

(11) প্রত্যেক অনুসংগঠনের (এজেন্সির) বাজেট বরাদ্দ ও তত্সহ ইহাদের পরিকল্পনা, প্রস্তাবিত ব্যয় ও খরচের প্রতিবেদন সংক্রান্ত খুঁটিনাটি।

(12) ভর্ত্তুকি কার্যক্রম নির্বাহ পদ্ধতি, অর্থ বরাদ্দ এবং এই সকল কার্যক্রমে উপকৃতদের বিশদ বিবরণ।

(13) ছাড় - প্রাপক, পারমিট প্রাপক এবং প্রদত্ত অধিকার (অর্থবাইজেশন) প্রাপকদের বিশদ বিবরণ।

(14) ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্যের বিশদ বিবরণ।

(15) নাগরিকবর্গের তথ্য সংগ্রহের যে সুযোগগুলি আছে, তাহার পূর্ণ বিবরণ ও জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য কোন গ্রন্থাগার বা পাঠাগার থাকিলে তাহার কাজের সময়।

(16) জনতথ্য আধিকারিকদের ( পি. আই. ও ) নাম, পদনাম ও অন্যান্য বিবরণ ।

(17) এই সকল ব্যতীত অন্য কোন তথ্যও নির্দেশিত হইলে, সেই তথ্য ইহার পর প্রতিবত্সর হালনাগাত ( আপডেট ) করিতে হইবে।

(খ) জনসাধারণের উপর প্রভাব আছে এই রূপ কোন সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় বা এই রূপ গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্দ্ধারণের সময় সকল প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রকাশ করিতে হইবে।

4 (2) জনসাধারণের এই আইনের সাহায্যে তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা যাহাতে ন্যূনতম হয়, তাহার জন্য প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির সর্বক্ষণের প্রচেষ্টা হইবে (1) উপধারার (খ) দফার (ক্লজ) বিধান অনুসারে জনসাধারণকে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ইণ্টারনেট সমেত / বিভিন্ন সংযোগ মাধ্যমের সাহায্যে নিয়মিত ভাবে কিছু সময় অন্তর পর্যাপ্ত তথ্য পরিবেশন করা।

4 (3) এই ধারার (1) উপধারার অভীষ্ট লক্ষ্যে প্রত্যেক তথ্য এমন ভাবে আকারে ব্যাপকভাবে করিতে হইবে যাহাতে উহা জনসাধারণের নিকট সহজলভ্য হয়।

4 (4) ব্যায়ের কার্যকারিতা, স্থানীয় ভাষা প্রতিটি এলাকায় সর্বাপেক্ষা ফলপ্রসূ সংযোগ পদ্ধতি কি হইতে পারে, তথ্য সম্প্রচারের ক্ষেত্রে এসকল বিবেচনা করিতে হইবে। কিভাবে তথ্য সহজগোচর করা যায়, কেন্দ্রীয় জনতথ্য আধিকারিক (সি.পি.আই.ও) বা রাজ্য জনতথ্য আধিকারিকের (এস.পি.আই.ও) নিকট থাকা তথ্য কিরূপে বিনা ব্যয়ে বা নাম মাত্র ব্যয়ে বা মুদ্রণ এর ব্যয়ের সমান হারে এই বিষয়ে নির্দ্ধারিত নিয়মানুসারে জনসাধারণের বিশেষতঃ যতদূর সম্ভব ইলেকট্রনিক পদ্ধতি সাহায্যে দ্রুত ও সহজলভ্য করা যায় তাহা বিবেচনায় রাখিতে হইবে।ব্যাখ্যা : (3) ও (4) উপধারার অভীষ্ট লক্ষ্যের সহিত সঙ্গতি রাখিয়া বলা যায় যে সম্প্রচার ( ডিসোমিনেট ) এর অর্থ হইল জনসাধারণকে তথ্য জানাইয়া দেওয়া বা তাহাদের গোচরীভূত করা। তাহা নোটিশ বোর্ড সংবাদপত্র প্রকাশ্য ঘোষণা, সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার, ইণ্টারনেট বা অন্য কোন পদ্ধতিতে বা জন প্রতিনিধির কার্যালয় পরিদর্শন করাইয়া সম্পাদিত করা যাইতে পারে।

5. (1) এই আইন কার্যকর হইবার 100 দিনের মধ্যে এই আইন মোতাবেক অনুরোধের ভিত্তিতে তথ্যের যোগানের জন্য প্রত্যেক জন কর্ত্তৃপক্ষ ইহার অধীনস্থ প্রত্যেক প্রসাশনিক কেন্দ্র ও কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আধিকারিক কেন্দ্রীয় জনতথ্য আধিকারিক (এস. পি. আই. ও.) পদনাম প্রদান করিবেন।

5 (2) (1) উপধারার নির্দেশের হানিবিহীন ভাবে এই আইন কার্যকর হইবার 100 দিনের মধ্যে প্রত্যেক জন কর্ত্তৃপক্ষ প্রত্যেক মহকুমান্তরে ও জেলার অধস্তন স্তরের অন্যান্য প্রত্যেক একজন আধিকারিক কে কেন্দ্রীয় সহকারী জনতথ্য আধিকারিক ( সি. এ. পি. আই. ও. ) অথবা রাজ্য সহকারী জনতথ্য আধিকারিক (এস. এ. পি. আই.ও.) (যেখানে যে পদ প্রাসঙ্গিক ) পদনাম দিবেন। ইহারা এই আইন অনুসারে তথ্যের জন্য দরখাস্ত বা আপীল গ্রহণ করিবেন এবং অবিলম্বে ঐগুলি সম্পর্কিত কেন্দ্রীয় জন্যতথ্য আধিকারিক বা রাজ্য জনতথ্য আধিকারিকের নিকট প্রেরণ করিবেন অথবা 19 (1) ধারা মোতাবেক উচ্চতর পদাধিকারীর ( সিনিয়র অফিসার) নিকট বা কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন বা রাজ্য তথ্য কমিশনের নিকট যেখানে যেরূপ বিধেয় প্রেরণ করিবেন।

ইহা এই শর্ত্ত সাপেক্ষ যে যেখানে তথ্যের জন্য দরখাস্ত বা আপীল কেন্দ্রীয় সহকারী জন্য তথ্য আধিকারিক বা রাজ্য সহকারী জন তথ্য আধিকারিকের নিকট জমা দেওয়া হইব, সেখানে এই আইনের 7 (1) ধারা অনুসারে জবাবের জন্য নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা 5 দিন অধিক সময় পাওয়া যাইবে।

5 ( 3 ) প্রত্যেক সি. পি. আই. ও. এবং এস. পি. আই. ও. প্রত্যেক তথ্যভিলাষী ব্যক্তির তথ্যের জন্য অনুরোধের ব্যাপারে তাহাকে যুক্তিযুক্ত সহায়তা প্রদান করিবেন।

(4) স্বীয় কর্ত্তব্য পালনের জন্য প্রত্যেক সি. পি. আই. ও. এবং এস. পি. আই. ও. নিজ বিবেচনায় অন্য যে কোন আধিকারিকের সহায়তা চাহিতে পারেন।

( 5 ) ( 4 ) উপধারা মতে যে আধিকারিকের সহায়তা চাওয়া হইবে, তিনি যে সি. পি. আই. ও. বা এস. পি. আই. ও. তাঁহাকে সাহায্য দিবেন এবং এই আইনের কোন বিধি লঙ্ঘিত হইলে দায়িত্ব নির্ণয়ের জন্য তিনি ও সি. পি. আই. ও. বা এস. পি. আই. -এর সমতুল ও সমান দায়ভাগী বলিয়া বিবেচিত হইবেন।

(6) কোন ব্যক্তি এই আইন অনুসারে কোন তথ্য জানিতে ইচ্ছুক হইলে লিখিতভাবে অথবা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে ইংরাজী, হিন্দী অথবা সরকারীভাবে স্বীকৃত স্থানীয় ভাষায় নির্দিষ্ট ফি সহ দরখাস্ত করিবেন, জ্ঞাতব্য তথ্যের বিশেষ বিবরণ সহ

( ক ) এই দরখাস্ত সংশ্লিষ্ট জন কর্ত্তৃপক্ষের সি. পি. আই. ও. অথবা এস. পি. আই. ( যথা প্রাসঙ্গিক ) নিকট

( খ ) অথবা সংশ্লিষ্ট জনকর্ত্তৃপক্ষের সি. এ. পি. আই. ও. বা এস. এ. পি. আই. ও. যে ক্ষেত্রে যিনি প্রাসঙ্গিক, তাহার নিকট করিতে হইবে।

ইহা এই শর্ত্ত সাপেক্ষ যে যেখানে লিখিত ভাবে এই দরখাস্ত করা সম্ভব নয়, সেখানে সংশ্লিষ্ট সি. পি. আই. ও. বা এস. পি. আই. ও. ওই ব্যক্তির মৌখিক অনুরোধ লিপিবদ্ধ করিবার জন্য তাহাকে সর্বপ্রকার যুক্তিযুক্ত সহায়তা প্রদান করিবেন।

6 (2) আবেদনকারীকে তথ্য সংগ্রহের কারণ দর্শাইতে বা তাহার সহিত যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যতিরেকে অন্য ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি প্রকাশ করিতে বলা যাইবে না।

(3) যখন কোন জন কর্ত্তৃপক্ষের নিকট এমন তথ্যের জন্য আবেদন করা হয়,

(ক) যাহা কোন জন কর্ত্তৃপক্ষের হস্তগত বা

(খ) যাহার বিষয়বস্তু অন্যকোন জন কর্ত্তৃপক্ষের কর্ত্তব্য কার্যের সহিত অধিকতর নিবিড়ভাবে সংশ্লিষ্ট তখন সেই জন কর্ত্তৃপক্ষ সেই আবেদন পত্রটি অথবা তাহার যথোপযুক্ত অংশটি সেই সংশ্লিষ্ট জন কর্ত্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করিবেন এবং আবেদনকারীকে তত্ক্ষনাত সেই হস্তান্তরের কথা জানাইবেন।

এই প্রসঙ্গে ইহা শর্তসাপেক্ষ যে এই উপধারার আবেদন পত্রের হস্তান্তর যথা সম্ভব শীঘ্র করিতে হইবে কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই উহা আবেদন পত্র প্রাপ্তির তারিখ হইতে পাঁচ দিনের অধিক বিলম্বিত হইবে না।

(7) (1) 5 ধারার (2) উপধারার অনুবিধি অথবা 6 ধারার (3) উপধারার অনুবিধিসাপেক্ষ সংশ্লিষ্ট সি. পি. আই. ও. অথবা এস. পি. আই. ও. 6 ধারা মোতাবেক অনুরোধ প্রাপ্তির পর যথাসম্ভব দ্রুত এবং প্রতি ক্ষেত্রে অনুরোধ প্রাপ্তির 30 দিনের মধ্যে হয় যথা নির্দিষ্ট ফি প্রাপ্তি সাপেক্ষে তথ্য প্রদান করিবেন অথবা 8 এবং 9 ধারায় উল্লিখিত যে কোন কারণে অনুরোধটি প্রত্যাখ্যান করিবেন।

ইহা এই শর্তসাপেক্ষ যে প্রার্থিত তথ্য যদি কোন ব্যক্তির জীবন বা ব্যক্তি স্বাধীনতা সংক্রান্ত হয়, তাহা হইলে উহা অনুরোধ প্রাপ্তির 48 ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই প্রদান করিতে হইবে।

7 (2) যদি কোন সি. পি. আই. ও. অথবা এস. পি. আই. ও. নির্দ্ধারিত সময়ের মধ্যে (1) উপধারা অনুসারে তথ্যের জন্য অনুরোধ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাইতে অক্ষম হন, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট সি. পি. আই. ও. বা এস. পি. আই. ও অনুরোধটি প্রত্যাখান করিয়াছেন বলিয়া পরিগণিত হইবেন।

7 (3) যে ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহের খরচ হিসাবে অতির্ক্ত কিছু ফি প্রদান সাপেক্ষে তথ্য দিবার সিদ্ধান্ত লওয়া হইবে, সেই ক্ষেত্রে সি. পি. আই. ও. বা এস. পি. আই. ও. আবেদনকারীকে ওই মর্মে অবহিত করিবেন। আবেদনকারীকে জানাইতে হইবে -

(ক) তাহার দ্বারা নির্দ্ধারণ করা তথ্য সরবরাহের খরচের জন্য অতিরিক্ত ফি এর খুঁটিনাটি এবং (1) উপধারা মতে নির্দষ্ট ওই ফি এর হিসাব এইগুলি জানাইয়া ওই ফি জমা দিবার অনুরোধ জানাইতে হইবে এবং এই সংবাদ প্রেরণ করিবার দিন হইতে ফি প্রদানের দিনের অন্তর্বর্ত্তী সময় ওই ধারায় নির্দিষ্ট 30 দিনের সময় হিসাব করিতে বাদ দেওয়া হইবে।

(খ) দাবীকৃত ফি -এর সিদ্ধান্ত, তথ্য জানাইয়াবার পদ্ধতি সম্বন্ধে সিদ্ধান্তের পুনঃ পরীক্ষার সম্বন্ধে আবেদনকারীর অধিকার সম্পর্কিত তথ্য এবং আপীল কর্ত্তৃপক্ষ আপীলের সময় সীমা, পদ্ধতি ও অন্য কোন নির্দেশ।

7 (4) যেখানে এই আইন অনুসারে কোন রেকর্ডে বা তাহার অংশ বিশেষ কোন ব্যক্তিকে দেখাইতে হইবে (অ্যাকসেস) এবং সেই ব্যক্তি কোন ইন্দ্রিয় বৈকল্য জনিত অসামর্থ্যে ভুগতেছেন, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সি. পি. আই. ও. অথবা এস. পি. আই. ও. তথ্যের রেকর্ড বা নথি দেখিবার বা পরিদর্শন করিবার তাহাকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান করিবেন।

7 (5) যেখানে ঈপ্সিত তথ্য কোন মুদ্রিত বা বৈদ্যুতিন ফর্মে দিতে হইবে, সেক্ষেত্রে আবেদনকারী (7) উপধারার বিধান সাপেক্ষে নির্দ্ধারিত ফি প্রদান করিবেন। এই প্রসঙ্গে ইহা শর্তসাপেক্ষ যে 6 (1) ধারা ও 7 (5) ধারা অনুসারে নির্দ্ধারিত ফি যুক্তিযুক্ত হইবে এবং যে সকল ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট সরকার কর্ত্তৃক দারিদ্র্য সীমার নিম্নে অবস্থানকারী বলিয়া পরিগণিত হইবেন, তাহাদের উপর কোন ফি ধার্য করা যাইবে না।

7 (6) (5) উপধারার বিধান সত্ত্বেও, যেখানে কোন জন কর্ত্তৃপক্ষ (1) উপধারায় নির্দিষ্ট সময় সীমার বিধান মানিতে অক্ষম হইবেন সেখানে আবেদনকারীকে নিঃখরচায় তথ্য সরবরাহ করিতে হইবে।

7 (7) (1) উপধারা মতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট সি. পি. আই. ও. বা এস. পি. আই. ও. 11 ধারা মতে কোন তৃতীয় পক্ষের নিবেদন থাকিলে তাহা বিবেচনা করিবেন।

7 (8) যেখানে কোন আবেদন (1) উপধারা মতে প্রত্যাখ্যান করা হইয়াছে, সংশ্লিষ্ট সি. পি. আই. ও. বা এস. পি. আই. ও. আবেদনকারীকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি জানাইবেন -

(ক) প্রত্যাখ্যানের কারণ,

(খ) এই প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে আপীল করিবার সময়সীমা এবং

(গ) আপীল কর্ত্তৃপক্ষের বিশেষ বিবরণ।

7 (9) তথ্য যে ফরমে চাওয়া হইয়াছে, সাধারণত সেই ফরমেই দিতে হইবে, অবশ্য যদি ইহা সংশ্লিষ্ট জন প্রতিনিধির নিকট মাত্রাতিরিক্ত খরচসাপেক্ষ না হয় অথবা তথ্যের নিরাপত্তা বা সংরক্ষণের পক্ষে ক্ষতিকর না হয়।

8. এই আইনের বিধানগুলি সত্ত্বেও কোন নাগরিককে নিম্নে নির্দিষ্ট তথ্যগুলি প্রদানে কোন দায়বদ্ধতা নাই -

(ক) এমন তথ্য যাহার প্রকাশ ভারতের সার্বভৌমত্ব অখণ্ডতা, নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের রণনীতি বা কৌশল বৈজ্ঞানিক বা অর্থনৈতিক স্বার্থ বা অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের পক্ষে ক্ষতিকর যাহা অপরাধ প্ররোচনামূলক।

(খ) এমন তথ্য যাহার প্রকাশ আদালত বা ট্রাইবুনাল কর্ত্তৃক পরিষ্কাররূপে নিষিদ্ধ করা হইয়াছে অথবা যাহার প্রকাশ আদালত অবমাননাকর।

(গ) এমন তথ্য যাহার প্রকাশে আইনসভা বা বিধান সভার বিশেষাধিকার ভঙ্গ করা হইব।

(ঘ) বাণিজ্যিক বিশ্বস্ততা, ব্যবসায়ের গুপ্ত তথ্য উদ্ভাবনী মেধা সম্পদ ( ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি ) সমেত যে সকল তথ্যের প্রকাশ কোন তৃতীয় পক্ষের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের পক্ষে ক্ষতিকর, অবশ্য যদি না যোগ্য কর্ত্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সন্তুষ্ট হন যে বৃহত্তর জন স্বার্থের খাতিরে এই তথ্য প্রকাশ করা যাইতে পারে।

(ঙ) যে তথ্য কোন ব্যক্তির আস্থাভাজন সম্পর্কের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই গোচরীভূত, অবশ্য যদি না যোগ্য কর্ত্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সন্তুষ্ট হন যে বৃহত্তর জনস্বার্থে এই তথ্য প্রকাশ করা যাইতে পারে।

(চ) বিদেশী সরকারের নিকট গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য।

(ছ) এমন তথ্য যাহার প্রকাশ কোন ব্যক্তির জীবন বা দৈনিক নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক হইতে পারে বা আইন কার্যকর বা নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে প্রদত্ত তথ্য বা সহায়তার পরিচয় প্রকাশ করিয়া দিতে পারে।

8 (জ) যে তথ্য তদন্ত প্রক্রিয়ায় অথবা অপরাধীর গ্রেফতার বা বিচারে বাধার সৃষ্টি করিতে পারে।

(ঝ) ক্যাবিনেট সংক্রান্ত নথিপত্র ও মন্ত্রী পরিষদ, সচিব ও অন্যান্য আধিকারিক গণের মতবিনিময় সংক্রান্ত নথিপত্র। ইহা এই শর্তসাপেক্ষ যে মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্তগুলি, যাহার কারণ ও যে তথ্যের উপর ভিত্তি করিয়া ঐ সিদ্ধান্ত লওয়া হইয়াছে তাহা সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর এবং বিষয়টির সমাপ্তি ঘটিবার পর প্রকাশ করিতে হইবে। অপর শর্ত এই যে এই আইনে ছাড়প্রাপ্ত বিষয়গুলি প্রকাশ করা যাইবে না।

(ঞ) ব্যক্তিগত তথ্য যাহার প্রকাশের সহিত জনসাধারণের কাজকর্ম বা স্বার্থের কোন সম্পর্ক নাই অথবা যাহা কোন ব্যক্তির নিতান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপারে অকারণ আক্রমণের তথ্য অবশ্য যদি না সংশ্লিষ্ট সি. পি. আই.ও. বা এস. পি. আই. ও. বা আপীল কর্ত্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সন্তুষ্ট হন যে জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে তথ্য প্রকাশিত হইতে পারে।

ইহা এই শর্ত সাপেক্ষ যে যে তথ্য আইনসভা বা বিধানসভায় দিতে অস্বীকার করা যায় না সেই তথ্য কাহাকেও দিতে অস্বীকার করা যাইবে না।

8 (2) অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, 1923 এর বিধান অনুসারে বা ওই আইনের (1) উপধারামতে ছাড়প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও কোন জন প্রতিনিধি কোন তথ্য প্রকাশে স্বীকৃত হইতে পারেন যদি ইহাতে জনস্বার্থের পাল্লা সংরক্ষিত ক্ষতি অপেক্ষা অধিকতর ভারী হয়।

8 (3) (1) ক, গ, ঝ উপধারার বিধান সাপেক্ষে 6 ধারা অনুসারে করা আবেদন যদি দরখাস্ত করিবার 20 বত্সর পূর্বে সংঘটিত কোন বিষয় বা ঘটনা সম্পর্কিত তথ্যের জন্য হইয়া থাকে, তাহা হইলে আবেদনকারীকে এই অনুসারে ঐ তথ্য প্রদান করিতে হইবে। প্রকাশ থাকে যে যদি 20 বত্সর কোন তারিখ হইতে গণনা করা হইবে এ সম্বন্ধে যদি কোন প্রশ্ন ওঠে, তাহা হইলে এই আইন অনুসারে আপীলের বিধান সাপেক্ষে এ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বিবেচিত হইবে।

(9) 8 ধারায় বর্ণিত বিধানের হানিবিহীনভাবে একজন সংশ্লিষ্ট সি. পি. আই. ও. বা এস. পি. আই. ও. একটি তথ্যের আবেদন প্রত্যাখ্যান করিতে পারেন যে ক্ষেত্রে এই তথ্য প্রদানে রাষ্ট্র ব্যতীত অপর কোন ব্যক্তির কপিরাইটের অধিকার লঙ্ঘিত হইবে।

(1) (1) যদি তথ্য জানিবার জন্য কোন আবেদন এই কারণে বাতিল হয় যে উহার প্রকাশ ছাড়প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কিত, তাহা হইলেও, এই আইনের বিধানগুলি সত্ত্বেও রেকর্ডের যে অংশে এই আইন অনুসারে অপ্রকাশ্য কোন তথ্য নাই এবং যাহা অন্য যে কোন অপ্রকাশ্য অংশ হইতে যথাযথভাবে পৃথক করা যাইতে পারে, সেই অংশ আবেদনকারীকে প্রদান করা যাইতে পারে।

10 (2) উপ ধারানুসারে যে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ তথ্যের কোন অংশ প্রকাশ্যের সম্মতি দেওয়া হইয়াছে, সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সি. পি. আই. ও. অথবা এস. পি. আই. ও. আবেদনকারীকে এই মর্মে একটি নোটিশ দিবেন -

(ক) যে প্রকাশের দায় হউতে ছাড়প্রাপ্ত অংশ পৃথক করিয়া প্রর্থিত রেকর্ডের কেবলমাত্র অংশবিশেষ প্রদত্ত হইব;

(খ) এই সিদ্ধান্তের কারণ এবং প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন সম্পর্কে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত ও যে তথ্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত সকল গৃহীত হইয়াছে।

(গ) সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর নাম ও পদনাম।

(ঘ) ফি -এর পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব এবং আবেদনকারীকে কত ফি জমা দিতে হইবে এবং

(ঙ) তথ্যের অংশের অপ্রকাশের বিরুদ্ধে আবেদনকারীর রিভিউ প্রার্থনা করিবার অধিকার, প্রদেয় ফি, সংযোগ পাইবার ( access ) পদ্ধতি, 19 ধারার (1) উপধারায় উল্লিখিত বরিষ্ঠ আধিকারিকের বিশেষ বিবরণ অথবা সংশ্লিষ্ট সি. পি. আই. ও. অথবা এস. পি. আই. ও. সম্পর্কে বিশেষ বিবরণ সময়সীমা পদ্ধতি এবং অন্য কোন সম্ভাব্য সংযোগ পদ্ধতি।

তৃতীয় পাক্ষিক তথ্য 11 (1) যখন এই আইন অনুসারে আবেদন ক্রমে কোন সংশ্লিষ্ট সি. পি. আই. ও. বা এস. পি. আই. ও. এমন কোন তথ্য বা রেকর্ড বা তাহার অংশ প্রকাশ করিতে ইচ্ছুক, যাহা কোন তৃতীয় পক্ষ সম্পর্কিত বা তৃতীয় পক্ষের নিকট হইতে লব্ধ এবং উক্ত তৃতীয় পক্ষ কর্ত্তক গোপনীয় বলিয়া বিবেচিত তখন আবেদন প্রাপ্তির ৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সি. পি. আই. ও. বা এস. পি. আই. ও. বা এস. পি. আই. ও. উক্ত তৃতীয় পক্ষকে একটি লিখিত নোটিশ দিয়া এই আবেদন সম্বন্ধে অবহিত করাইবেন এবং জানাইবেন যে তিনি ওই তথ্য বা রেকর্ড বা তাহার অংশ প্রকাশ করিতে ইচ্ছুক এবং ঐ তৃতীয় পক্ষকে এই তথ্য প্রকাশ করার উচিত সম্বন্ধে মৌখিক বা লিখিত ভাবে তাহা বক্তব্য পেশ করিতে আমন্ত্রণ জানাইবেন এবং এই তথ্য প্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে তাঁহার বক্তব্য স্মরণে রাখিবেন। ইহা এই শর্ত সাপেক্ষ যে আইনানুসারে সংরক্ষিত ব্যবসা বা বাণিজ্যিক গোপনীয় তথ্য ব্যতিরেকে অন্যান্য তথ্য প্রকাশে অনুমতি দেওয়া যাইতে পারে যদি এই প্রকাশের গুরুত্বের প্রশ্নে জনস্বার্থের পাল্লা কোন তৃতীয় পক্ষের সম্ভাব্য স্বার্থের হানির অপেক্ষা ভাবী হয়।11 ( 2) যখন (1) উপধারা কোন তৃতীয় পক্ষকে কোন তথ্য বা রেকর্ড বা তাহার অংশ প্রকাশের বিষয়ে বিশেষ এইরূপ নোটিশ দেওয়া হইবে, তখন উক্ত তৃতীয় পক্ষকে নোটিশ প্রাপ্তির দশ দিনের মধ্যে প্রস্তারিত তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে তাহার নিবেদন জানাইবার সুযোগ দিতে হইবে।

(3) 7 ধারার বিধান সত্ত্বেও যে ক্ষেত্রে কোন তৃতীয় পক্ষকে (2) উপ ধারামতে কারণ দর্শানোর সুযোগ দেওয়া হইয়াছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সি. পি. আই. ও. বা এস. পি. আই. ও. 6 ধারা অনুসারে প্রাপ্তির 40 দিনের মধ্যে উক্ত তথ্য, রেকর্ড বা তাহার অংশ প্রকাশ করিবেন কিনা এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন এবং তৃতীয় পক্ষকে সেই মর্মে লিখিত ভাবে তাহার সিদ্ধান্তের নোটিশ দিবেন।

(4) (3) উপধারামতে নোটিশের সহিত ইহা অবশ্যই উল্লেখ করিতে হইবে যে তৃতীয় পক্ষ 19 ধারা মতে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করিতে পারেন।

অধ্যায় - 3


12 (1) সরকারী গেজেটে প্রত্যাপনের দ্বারা কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন নামে একটি সংস্থা গঠন করিবেন। এই কমিশন ইহার উপর এই আইন অনুসারে ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করিবেন ও ইহার উপর প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন -

(2) কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনে থাকিবেন -

(ক) মুখ্য তথ্য কমিশনার এবং

(খ) প্রয়োজন মোতাবেক দশের অনধিক কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার।

(3) নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গকে লইয়া গঠিত একটি কমিটির সুপারিশ অনুসারে রাষ্ট্রপতি মুখ্য তথ্য কমিশনার ও কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনারগণ কে নিয়োগ করিবেন -

(ক) প্রধানমন্ত্রী – কমিটির সভাপতি।

(খ) লোকসভার বিরোধী নেতা।

(গ) প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা মনোনীত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার ক্যাবিনেট পর্যায়ের একজন মন্ত্রী।

ব্যাখ্যা - সন্দেহ নিরসনের জন্য ইহা এতদ্বারা ঘোষিত হইতেছে যে যেখানে লোকসভার বিরোধী নেতা বলিয়া কাহাকে বিধিমতে স্বীকৃত দেওয়া হয় নাই সেই ক্ষেত্রে লোকসভার বৃহত্তম একক সংখ্যা গরিষ্ঠ নেতা লোকসভার বিরোধী নেতা বলিয়া বিবেচিত হইবেন।

(4) কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের বিষয়গুলি সংক্রান্ত সাধারণ অধীক্ষণ ( superintendence ), নির্দেশ ও পরিচালন মুখ্য তথ্য কমিশনারের উপর বার্তাইবে এবং তিনি এই বিষয়ে অন্য তথ্য কমিশনারগণের সহায়তা পাইবেন। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন স্বাধীনভাবে অন্য কোন কর্ত্তৃপক্ষের নির্দেশ ব্যতিরেকে এই আইন অনুসারে যে সকল কর্ত্তব্যকার্য করিতে পারে বা যে ক্ষমতার প্রয়োগ করিতে পারে, তিনিও সেই সকল কার্য ও ক্ষমতার প্রয়োগ করিতে পারিবেন।

12 (5) আইন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা, সমাজসেবা, পরিচালন, সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম, প্রশাসন বা শাসন পদ্ধতিতে গভীর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অধিকারী জনজীবনে প্রসিদ্ধ ব্যক্তিগণই মুখ্য তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনার হইবেন।

(6) মুখ্যতথ্য কমিশনার বা কোন কমিশনার সংসদ, কোন রাজ্য বা ইউনিয়ন ( টেরিটরি ) বিধান মন্ডলীর সভা হইতে বা থাকিতে পারিবেন না, অন্য কোন লাভজনক কার্যে নিযুক্ত থাকিতে পারিবেন না, কোন রাজনৈতিক দলের সহিত যুক্ত থাকিতে পারিবেন না, কোন ব্যবসায় বা পেশায় নিযুক্ত থাকিতে পারিবেন না।

(7) কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের সদর দপ্তর দিল্লীতে হইবে এবং পূর্বে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন লইয়া কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন ভারতের অন্যান্য স্থানে অফিস স্থাপন করিতে পারেন।

13 (1) মূখ্য তথ্য কমিশনার স্বীয় অফিসে যোগদানের তারিখ হইতে পাঁচ বছরের কার্যকলাপের মেয়াদে নিযুক্ত হইবেন এবং পুনর্নিয়োগযোগ্য হইবেন না।

ইহা এই নিয়ম সাপেক্ষ যে কোন মুখ্য তথ্য কমিশনার 65 বত্সর বয়স হইবার পর পদে থাকিবেন না।( 2 ) প্রত্যেক তথ্য কমিশনারের কার্যকাল হইবে ওই পদে যোগদান করিবার তারিখ হইতে পাঁচ বত্সর অথবা 65 বত্সর বয়ঃক্রম পর্যন্ত – এই দুইয়ের যাহাই আগে ঘটুক এবং তিনি তথ্য কমিশনার হিসাবে পুনরায় নিয়োগযোগ্য হইবেন না। অবশ্য প্রত্যেক তথ্য কমিশনার এই উপধারামতে তাহার পদ শূণ্য করিবার পর 12 ধারার (3) উপধারা মতে মুখ্য তথ্য কমিশনার নিযুক্তির যোগ্য থাকিবেন। ইহা আরও এই শর্তসাপেক্ষ যে যদি কোন তথ্য কমিশনার মুখ্য তথ্য কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত হন, তাহা হইলে তথ্য কমিশনার ও মুখ্য তথ্য কমিশনার হিসাবে তাহার কার্যকালের মেয়াদ মোট 5 বত্সরের অধিক হইবে না।

(3) মুখ্য তথ্য কমিশনার বা যে কোন তথ্য কমিশনারকে তাঁহার কার্যে যোগদানের পূর্বে রাষ্ট্রপতি বা তাঁহার দ্বারা এই উদ্দেশ্যে নিযুক্ত অন্য কোন ব্যক্তির সম্মুখে এই উদ্দেশ্যে প্রথম তফশিলে লিখিত বয়ানে শপথগ্রহণ করিতে হইবে।

13 (4) মুখ্য তথ্য কমিশনার বা কোন তথ্য কমিশনার যে কোন সময় রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করিয়া লিখিতভাবে নিজের পদ ত্যাগ করিতে পারেন। ইহাও এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে মুখ্য তথ্য কমিশনার বা কোন তথ্য কমিশনারকে অত্র আইনের 14 ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে অপসারণ করা যাইতে পারে।(5) (ক) মুখ্য তথ্য কমিশনারের মূল বেতন ভাতা ও চাকুরির অন্যান্য শর্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ন্যায় হইবে।

(খ) একজন তথ্য কমিশনারের মূল বেতন, ভাতা ও চাকুরীর অন্যান্য শর্ত একজন নির্বাচন কমিশনারের ন্যায় হইবে।

ইহা এই শর্তসাপেক্ষ যে মুখ্য তথ্য কমিশনার বা কোন তথ্য কমিশনার তাহার ওই পদে নিযুক্তির পূর্বে যদি কেন্দ্রীয় সরকার বা কোন রাজ্য সরকারের চাকরি করার জন্য কোন প্রতিবন্ধি পেন্সন বা আহত হইবার কারণে পেন্সেন ছাড়া অন্য কোন পেন্সন প্রাপক হন, তাহা হইলে তাহার প্রাপ্য বেতন হইতে উক্ত পেন্সন ও পেন্সনের নিষ্ক্রীত মূল্য ( কমিউটেড ভ্যালু ) এবং অবসর আনুতোষিক ( বিটারিং গ্র্যাচুইটি ) ব্যাতিরেকে অন্যান্য অবসরকালীন সুবিধাগুলির পেন্সন মূল্য বাদ দিতে হইবে।

আরেকটি শর্ত হইল এই যে যদি মুখ্য তথ্য কমিশনার বা কোন তথ্য কমিশনার এই পদে নিযুক্তির সময় কেন্দ্রীয় বা কোন রাজ্য সরকারের আইন অনুসারে বা অধীনে প্রতিষ্ঠিত কোন কর্পোরেশন বা কেন্দ্রীয় সরকার বা কোন রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রনাধীন কোন সরকারী সংস্থায় পূর্বে চাকুরী করার সুবাদে কোন অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা ভোগ করিতে থাকেন, তাহা হইলে তাহার মুখ্য তথ্য কমিশনার বা তথ্য কমিশনার হিসাবে বেতন হইতে অবসরকালীন সমতুল অঙ্ক বাদ দিতে হইবে।

আরেকটি শর্ত হইল এই যে মুখ্য তথ্য কমিশনার বা কোন তথ্য কমিশনারের বেতন, ভাতা, চাকুরীর অন্যান্য শর্ত তাহাদের নিযুক্তির পর তাহাদের পক্ষে অসুবিধাজনক ভাবে পরিবর্তন করা যাইবে না।

13 (3) মুখ্য তথ্য কমিশনার বা তথ্য কমিশনার গণ যাহাতে আইনমোতাবেক কাজকর্ম দক্ষতার সহিত নিষ্পন্ন করিতে পারেন, তাহার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী আধিকারিক ও কর্মচারীর ব্যবস্থা করিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে নিযুক্ত আধিকারিক ও কর্মীবর্গের বেতন, ভাতা ও চাকুরীর শর্ত এই বিষয়ে লওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে হইবে।

14 (1) অপসারণ নিম্নোক্ত (3) উপধারার বিধান সাপেক্ষে মুখ্য তথ্য কমিশনার বা কোন তথ্য কমিশনারকে কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতির আদেশনামা বলে প্রমাণিত অসদাচরণ বা অক্ষমতার দায়ে অপসারণ করা যাইতে পারে, যদি বিষয়টি রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের মতামতের নিমিত্ত প্রেরণ করেন সুপ্রীম কোর্টে তদন্তের পর এই মর্মে মত দেন যে উক্ত মুখ্য তথ্য কমিশনারকে বা তথ্য কমিশনারকে ঐ কারণে অপসারণ করাই উচিত।

( 20 ) যদি রাষ্ট্রপতি মুখ্য তথ্য কমিশনার বা কোন তথ্য কমিশনারের সম্পর্কে (1) উপ ধারামতে সর্ব্বোচ্চ ন্যায়লয়কে তদন্তের ভার অর্পণ করিয়া থাকেন, তবে যতদিন তিনি এই বিষয়ে সর্ব্বোচ্চ ন্যায়লয়ের প্রতিবেদন পাইয়া আদেশনামা জারি না করিবেন, অতদিন তিনি ওই মুখ্য তথ্য কমিশনার বা তথ্য কমিশনারকে সাময়িক কর্মচ্যুত করিতে পারিবেন এবং প্রয়োজন বোধে তদন্ত চলাকালীন তাহার অফিসে আসা নিষিদ্ধ করিতে পারেন।

(3 ) (1) উপধারার বিধান সত্ত্বেও, রাষ্ট্রপতি স্বীয় আদেশ বলে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে কোন মুখ্য তথ্য কমিশনার বা তথ্য কমিশনারকে তাঁহার অফিস হইতে অপসারণ করিতে পারেন -

(ক) যদি তিনি দেউলিয়া সাব্যস্ত হন, অথবা

14 (3) (খ) যদি তিনি এমন কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন যাহা রাষ্ট্রপতির মতে নৈতিক ভ্রাষ্টাচারের সহিত জড়িত অথবা

(গ) তাহার পদের মেয়াদ চলাকালীন তিনি যদি তাহার অফিসে কর্ত্তব্যের বাহিরে অন্য কোন কাজে অর্থের বিনিময়ে কোন কার্যে নিযুক্ত হন, অথবা

(ঘ) রাষ্ট্রপতির বিবেচনায় তিনি যদি দৈহিক বা মানসিক বৈকল্যহেতু অফিসের কাজ চালাইতে অপারগ হন, অথবা

(ঙ) তিনি এই রূপ আর্থিক বা অন্য কোন স্বার্থ আহরণ করিয়াছেন যাহা মুখ্য তথ্য কমিশনার বা তথ্য কমিশনার তাহার কর্ত্তব্য পালনের পক্ষে হানিকর।

(4) যদি মুখ্য তথ্য কমিশনার বা কোন তথ্য কমিশনার কোন নিগমবদ্ধ কোম্পানীর অন্য যে কোন সাধারণ সভ্যের মতন একজন সভ্য হিসাবে ছাড়া অন্য কোনভাবে ভারত সরকার কর্ত্তৃক বা ভারত সরকারের তরফে কোন চুক্তি বা স্বীকার পত্রে স্বার্থন্বিত বা সম্পর্কিত হন, অথবা তর্জ্জনিত লাভে অংশগ্রহণ করেন, অথবা তাহা হইতে প্রাপ্ত পাওনা বা সুবিধা গ্রহণ করেন, তাহা হইলে (1) উপধারার উদ্দেশ্য তিনি অসদাচরণের দায়ে দোষী সাব্যন্ত হইবেন।

অধ্যায় - 4
রাজ্য তথ্য কমিশন


15 (1) প্রত্যেক রাজ্য সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইন অনুসারে ক্ষমতা প্রয়োগ ও ন্যস্ত কার্যভাব পালনের জন্য (রাজ্যের নাম) তথ্য কমিশন নামে একটি সংস্থা গঠন করিবেন।

(2) রাজ্য তথ্য কমিশনে থাকিবেন -

( ক ) রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার

(খ) প্রয়োজন মোতাবেক দশের অনধিক রাজ্য তথ্য কমিশনার

(3) নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গকে লইয়া গঠিত একটি কমিটির সুপারিশ ক্রমে রাজ্যপাল রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার ও রাজ্য তথ্য কমিশনারবর্গকে নিয়োগ করিবেন -

(ক) মুখ্য মন্ত্রী – কমিটির সভাপতি

(খ) বিধানসভার বিরোধী দল নেতা

(গ) মুখ্যমন্ত্রী কর্ত্তৃক মনোনীত রাজ্য মন্ত্রীসভার ক্যাবিনেট পর্যায়ের একজন মন্ত্রী

ব্যাখ্যা - সমস্ত সন্দেহ নিরসন কল্পে ইহা ঘোষণা করা যাইতেছে যে যেখানে বিধান সভায় বিরোধী নেতা হিসাবে কাহাকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয় নাই, সেই ক্ষেত্রে বিধান সভায় একক বৃহত্তম সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার বিরোধী গোরীষ্ঠ নেতাই বিধান সভার বিরোধী নেতা বলিয়া বিবেচিত হইবেন।

(4) রাজ্য তথ্য কমিশনের বিষয়গুলি সংক্রান্ত সাধারণ অধীক্ষণ, নির্দেশদান ও পরিচালনা মুখ্য রাজ্য তথ্য কমিশনারের উপর বার্তাইবে এবং এই বিষয়ে তিনি অন্যান্য রাজ্য তথ্য কমিশনারগণের সহায়তা পাইবেন। এই আইন অনুসারে রাজ্য তথ্য কমিশন স্বাধীনভাবে অন্য কোন কর্ত্তৃপক্ষের নির্দেশ ব্যতিরেকে এই আইন অনুসারে যে সকল কার্য করিতে ক্ষমতার প্রয়োগ করিতে পারে, রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার ও সেই সকল কার্য ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।

15 (5) আইন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যা, সমাজ সেবা, পরিচালন, সাংবাদিকতা, অধিকারী জনজীবনে প্রসিদ্ধ ব্যক্তিগণই রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার বা রাজ্য তথ্য কমিশনার হইবেন।

(6) মুখ্য রাজ্য তথ্য কমিশনার অথবা রাজ্য তথ্য কমিশনার সংসদ, রাজ্য বিধানসভা বা ইউনিয়ন টেরিটরির সভ্য হইতে বা থাকিতে পারিবেন না, অন্য কোন লাভজনক কার্যে নিযুক্ত থাকিতে পারিবেন না, কোন রাজনৈতিক দলের সহিত যুক্ত থাকিতে পারিবেন না, কোন ব্যবসায় বা পেশায় নিযুক্ত থাকিতে পারিবেন না।

(7) রাজ্য তথ্য কমিশনের সদর দপ্তর রাজ্যের অভ্যন্তরে কোথায় হইবে তাহা রাজ্য সরকার সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তির দ্বারা নির্দিষ্ট করিবেন এবং পূর্বাহ্নে রাজ্য সরকারের অনুমোদন লইয়া রাজ্য কমিশন রাজ্যের অন্যান্য স্থানে অফিস স্থাপন করিতে পারেন।

16 (1) রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার অফিসে কার্যভার গ্রহণ করার তারিখ হইতে 5 বত্সর স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন এবং পুনরায় নিয়োগযোগ্য হইবেন না। ইহা এই নিয়মসাপেক্ষ যে কোন রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার 65 বত্সর বয়স হইবার পর কাজে নিযুক্ত থাকিবেন না।

(2) প্রত্যেক রাজ্য তথ্য কমিশনারের কার্যকালের কার্যে যোগদানের তারিখ হইতে 5 বত্সর অথবা মেয়াদ 65 বত্সর বয়স - এই দুই যাহাই আগে ঘটুক, সেই তারিখ পর্যন্ত এবং রাজ্য তথ্য কমিশনার হিসাবে তিনি পুনরায় নিয়োগযোগ্য হইবেন না। অবশ্য প্রত্যেক রাজ্য তথ্য কমিশনার এই উপ ধারামতে কার্যান্তে নিজের পদ শূণ্য করিলে, 15 ধারার (3) উপ ধারামতে রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার হিসাবে নিযুক্তির যোগ্য থাকিবেন।ইহা আরও শর্ত সাপেক্ষ যে যদি কোন রাজ্য তথ্য কমিশনার মুখ্য রাজ্য তথ্য কমিশনার হিসাবে নিযুক্তি হন, তাহা হইলে উভয় পদে তাহার কার্যকালের মোট মেয়াদ 5 বত্সরের অধিক হইবে না।

( 3 ) রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার বা যেকোন রাজ্য তথ্য কমিশনারকে তাহার কার্যে যোগদানের পূর্বে রাজ্যপাল বা তাহার দ্বারা এই উদ্দেশ্যে নিযুক্ত অন্য কোন ব্যক্তির সম্মুখে এই উদ্দেশ্য প্রথম তফশিলে লিখিত বয়ানে শপথ গ্রহণ করিতে হইবে।

16 (4) মুখ্য রাজ্য তথ্য কমিশনার বা কোন তথ্য কমিশনার যে কোন সময়ে লিখিত ভাবে রাজ্যপালের নিকট পদত্যাগ করিতে পারেন। এই প্রসঙ্গে ইহা উল্লেখ্য যে 17 ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার বা কোন তথ্য কমিশনারকে অপসারণ করা যাইতে পারে।

(5 ) (ক) মুখ্য রাজ্য কমিশনারের মূল বেতন, ভাতা ও চাকরীর অন্যান্য নিয়ম ও শর্তগুলি একজন নির্বাচন কমিশনারের ন্যায় হইবে।

(খ) রাজ্য তথ্য কমিশনারের বেতন ভাতা, চাকরির শর্ত ও নিয়মবলি রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিবের অনুরূপ হইবে।

ইহা এই শর্ত সাপেক্ষ যে যদি কোন রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার বা রাজ্য তথ্য কমিশনার এই পদে নিযুক্তির পূর্বে কেন্দ্রীয় সরকার বা কোন রাজ্য সরকারের চাকরি করার জন্য প্রতিবন্ধি পেন্সেন বা আহত হইবার কারণে পেন্সন ছাড়া অন্য কোন পেন্সনের প্রাপক হন, তাহা হইলে তাঁহার প্রাপ্য বেতন হইতে নিষ্ক্রীয় মূল্য ( কমিউটেড ভ্যালু) এবং অবসর আনুতোষিক ( রিট্যায়ারিং গ্র্যাচুইট ) ব্যাতিরেকে অন্যকোন অবসরকালীন সুবিধাগুলির পেন্সন মূল্য বাদ দিতে হইবে। আরেকটি শর্ত হইল এই যে যদি রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার বা রাজ্য তথ্য কমিশনার এই পদে নিযুক্তির সময় কেন্দ্রীয় বা কোন রাজ্য সরকারের আইন অনুসারে বা অধীনে প্রতিষ্ঠিত কোন কর্পোরেশন বা কেন্দ্রীয় বা কোন রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রনাধীন কোন সংস্থায় পূর্বে চাকুরী করার সুবাদে কোন অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা ভোগ করিয়া থাকেন তাহা হইলে মুখ্য তথ্য কমিশনার বা তথ্য কমিশনার হিসাবে তাঁহার বেতন হইতে সেই অবসরকালীন সুযোগ সুবিধার পেন্সন মূল বাদ দিতে হইবে, আরেকটি শর্ত হইল এই যে রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার বা কোন রাজ্য তথ্য কমিশনারের বেতন, ভাতা বা চাকরির অন্যান্য শর্ত তাহাদের নিযুক্তির পর তাহাদের পক্ষে অসুবিধা জনকভাবে পরিবর্তন করা যাইবে না।

16 ( 6 ) রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার বা রাজ্য তথ্য কমিশনারগণ যাহাতে এই আইন অনুসারে তাহাদের কাজকর্ম দক্ষতার সহিত নিষ্পন্ন করিতে পারেন তজ্জন্য রাজ্য সরকার প্রয়োজন ভিত্তিক আধিকারিক ও কর্মচারীর ব্যবস্থা করিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে নিযুক্ত আধিকারিক ও কর্মীবর্গের বেতন ভাতা ও চাকরির শর্ত এই বিষয়ে লওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে হইবে।

17 (1) উপধারা (3) এর বিধান সাপেক্ষে কেবলমাত্র রাজ্যপালের আদেশনামা বলে প্রমাণিত অসদাচরণ বা অক্ষমতার দায়ে রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার বা কোন রাজ্য তথ্য কমিশনারকে তাহার কার্যভাব হইতে অপসারণ করা যাইতে পারে যদি রাজ্যপাল বিষয়টি সুপ্রীম কোর্টের মতের নিমিত্ত প্রেরণ করেন এবং সুপ্রীম কোর্ট তদন্তান্তে এই মত দেন যে ঐ রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার বা রাজ্য তথ্য কমিশনারকে ঐ কারণে অপসারণ করা অবশ্য কর্ত্তব্য।

(2) যদি রাজ্যপাল রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার বা কোন রাজ্য তথ্য কমিশনার সম্পর্কে (1) উপধারা মতে সর্বোচ্চ ন্যায়লয়কে তদন্তের ভার অর্পণ করেন তবে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ ন্যায়লয়ের তদন্তের প্রতিবেদন পাইয়া আদেশনামা জারী না করা পর্যন্ত তিনি ঐ রাজ্য মুখ্য তথ্য বা রাজ্য তথ্য কমিশনারকে সাময়িকভাবে পদচ্যুত করিতে অথবা প্রয়োজন বোধে তাহার অফিসে আসা নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন।

(3) (1) উপ ধারার বিধান সত্ত্বেও রাজ্যপাল স্বীয় আদেশ বলে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে কোন রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার বা রাজ্য তথ্য কমিশনারকে তাঁহার অফিস হইতে অপসারণ করিতে পারেন।

(ক) যদি তিনি দেউলিয়া সাব্যন্ত হন অথবা

17 (3) (খ) যদি তিনি এমন কোন অপরাধে দোষী সাবান্ত হন যাহা রাজ্যপালের মতে নৈতিক ভ্রষ্টাচারের সহিত জড়িত, অথবা

(গ) তাহার পদের মেয়াদ চলাকালীন তিনি যদি তাহার অফিস কর্ত্তব্যের বাহিরে অন্য কোন কাজে অর্থের বিনিময়ে নিযুক্ত হন, অথবা

(ঘ) রাজ্যপালের বিবেচনায় তিনি যদি দৈহিক বা মানসিক বৈকল্য হেতু অফিসের কাজ চালাইতে অসমর্থ হন, অথবা

(ঙ) তিনি এইরূপ আর্থিক বা অন্য কোন স্বার্থ আহরণ করিয়াছেন যাহা তাঁহার রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার বা রাজ্য তথ্য কমিশনার হিসাবে কাজ করিবার পক্ষে অন্তরায়।

(4) যদি কোন রাজ্য মুখ্য তথ্য কমিশনার অথবা রাজ্য তথ্য কমিশনার কোন নিগমবদ্ধ কোম্পানীর কেবলমাত্র একজন সাধারণ সভা হিসাবে ছাড়া অন্য কোনভাবে রাজ্য সরকার কর্ত্তৃক বা রাজ্য সরকারের তরফে কোন চুক্তি বা স্বীকারপত্রে স্বার্থান্বিত বা সম্পর্কিত হন অথবা তর্জ্জনিত লাভের অংশীদার হন, অথবা তাহা হইতে পাওনা বা সুবিধা গ্রহণ করেন, তাহা হইলে (1) উপধারা মোতাবেক তিনি অসদাচরণের দায়ে দোষী সাব্যাস্ত হইবেন।

অধ্যায় - 5


তথ্য কমিশনগুলির ক্ষমতা ও কর্ত্তব্য, আপিল এবং শান্তি।

18 (1) এই আইনের বিধানসাপেক্ষে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশনের কর্ত্তব্য হইল অভিযোগ গ্রহণ করা এবং তাহার তদন্ত করা, এখন যে কোন ব্যক্তির নিকট হইতে, -

(ক) যিনি কোন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় জনতথ্য আধিকারিক বা রাজ্য জনতথ্য আধিকারিকের নিকট তাহার আবেদন জমা দিতে পারেন নাই, এই কারণে যে এই আইন অনুসারে এইরূপ কোন আধিকারিক নিযুক্ত হন নাই অথবা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য জনতথ্য আধিকারিকের অথবা 19 (1) ধারায় বিশেষিত বরিষ্ট আধিকারিক অথবা কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন বা রাজ্য তথ্য কমিশনের নিকট প্রেরণ করিবার জন্য গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিয়াছেন।(খ) যাহার এই আইন অনুসারে তথ্যের জন্য কোন অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হইয়াছে,

(গ) যিনি এই আইন অনুসারে নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে তাহার তথ্যের জন্য আবেদনের কোন জবাব পান নাই বা তথ্যটি হস্তগত করিতে পারেন নাই।

(ছ) যাহার নিকট এমন অঙ্কের ফি দাবি করা হইয়াছে যাহা তিনি অযৌক্তিক বলিয়া মনে করেন,

(ঙ) যিনি মনে করেন যে তাহাকে এই আইন অনুসারে যে তথ্য দেওয়া হইয়াছে তা হয় অসম্পূর্ণ, বিভ্রান্তিকর অথবা অসত্য

(চ) যাহার এই আইন অনুসারে তথ্যের জন্য অনুরোধ বা তথ্য প্রাপ্তি সম্বন্ধে অন্য যে কোন বিষয়ে অভিযোগ আছে।

18 (2) যদি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য অনুরোধ বা তথ্য প্রাপ্তি সম্বন্ধে অন্য যে কোন বিষয়ে অভিযোগ আছে।

18 ( 2 ) যদি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশন এ বিষয়ে সন্তুষ্ট হন যে বিষয়টি তদন্ত করিবার স্বপক্ষে যুক্তিযুক্ত কারণ আছে তাহা হইলে ওই কমিশন ওই বিষয়ে তদন্ত শুরু করিতে পারেন।

(3) এই ধারানুসারে তদন্ত করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন বা রাজ্য তথ্য কমিশনে সেই ক্ষমতা বার্তাইবে যাহা দেওয়ানী কার্যক্রম সংহিতা 1908 অনুসারে দেওয়ানী মামলার বিচারের নিমিত্ত দেওয়ানী আদালতকে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহ সম্বন্ধে দেওয়া আছে -

(ক) শমন জারী করা, কোন ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করা, তাহাকে মৌখিক বা লিখিত ভাবে শপথ পূর্বক বয়ান দিতে বাধ্য করা এবং কোন বিশেষিত বস্তু বা দলিল দাখিল করিতে বাধ্য করা।

(খ) দলিল দস্তাবেজের প্রদর্শন ও পরিদর্শনের আদেশ দান

(গ) এফিডেভিটের বা অফিস হইতে কোন সরকারী রেকর্ড তলব করা

18 (3) (ঙ) সাক্ষ্য গ্রহণ বা দলিল পরীক্ষার জন্য শমন জারি করা।

(চ) অন্য যে কোন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ যাহা বিধিবদ্ধ ভাবে নির্দেশিত হইবে।

(4) সংসদ বা রাজ্য বিধান সভার অন্য যে কোন আইনের সহিত অসমাঞ্জস্য সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশন এই আইন অনুসারে অভিযোগের তদন্ত করিবার সময় এই আইন যে রেকর্ডের প্রতি প্রযোজ্য এবং যাহা জন কর্ত্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে আছে তাহা পরীক্ষা করিতে পারিবেন এবং কোন কারণেই এইরূপ কোন রেকর্ড তাহাদের নিকট পেশ না করিলে চলিবে না।

19 যদি কোন ব্যক্তি 7 (1) বা 7 (3) (ক) ধারায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত না পান বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় জন তথ্য আধিকারিক বা রাজ্য জন তথ্য আধিকারিকের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন, তবে, তিনি যথানির্দিষ্ট সময়ের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার বা সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির 30 দিনের মধ্যে প্রত্যেক জন কর্ত্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য জনতথ্য আধিকারিকের বরিষ্ঠ আধিকারিকের নিকট একটি আপীল দায়ের করিতে পারেন।

প্রকাশ থাকে, এই আপীল 30 দিনের সময় সীমার পরেও যদি বরিষ্ঠ আধিকারিক মনে করেন যে আপীলকারী গ্রহণযোগ্য কারণেই যথাসময়ে আপীল দায়ের করার ব্যাপারে নিবারিত হইয়াছিলেন সেক্ষেত্রে ওই আপীল 30 দিন সময়সীমা পরেও গৃহীত হইবে।

19 (2) আপীল যেখানে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য জন তথ্য আধিকারিকের 11 ধারা অনুসারে কোন তৃতীয় পক্ষের তথ্য প্রকাশ সম্পর্কিত, সংশ্লিষ্ট তৃতীয় পক্ষের আপীলটি আদেশের তারিখের 30 দিনের সময় সীমার মধ্যে করিতে হইবে।

(3) (1) উপ ধারামতে সিদ্ধান্তটির প্রাপ্তির তারিখ বা উক্ত সিদ্ধান্তটি যে তারিখের মধ্যে হওয়া উচিত ছিল, সেই তারিখ হইতে 90 দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশনের নিকট দ্বিতীয় আপীল দায়ের করা যাইতে পারে।ইহা এই বিধান সাপেক্ষ যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশন 90 দিনের সময় সীমার পরেও ঐ আপীল গ্রহণ করিতে পারেন যদি তাহার এই বিষয়ে সন্তুষ্ট হন যে আপীলকারী পর্যাপ্ত কারণেই সময়মত আপীল দায়ের করা হইতে নিবারিত হইয়াছিলেন।

(4) যদি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য জন তথ্য আধিকারিকের যে আদেশের বিরুদ্ধে আপীলটি করা হইয়াছে তাহা কোন তৃতীয় পক্ষ তথ্য সম্পর্কিত হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য জন তথ্য আধিকারিক ঐ তৃতীয় পক্ষকে বক্তব্য পেশ করিবার ন্যায় সঙ্গত সুযোগ দিবেন।

19 (5) আপীল কার্যাবলীতে, অনুরোধে অসম্মতির সিদ্ধান্ত যে যুক্তিসম্মত ছিল তাহা প্রমাণ করিবার দায়ভাব যে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য জনতথ্য আধিকারিক ঐ আবেদন খারিজ করিয়াছিলেন, তাহার উপর বর্ত্তাইবে।

(6) (1) উল্লিখিত উপ ধারামতে দায়ের করা আপীল উহার প্রাপ্তির 30 দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিতে হইবে। অথবা লিখিত ভাবে নথীভুক্ত কারণ দেখাইয়া বর্দ্ধিত সময়ে মোট অনধিক 45 দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।

(7 ) সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশনের সিদ্ধান্ত বাধ্যতামূলক।

(8) ইহার সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ব্যাপারে নিম্নোক্ত ক্ষমতা আছে -

(ক ) এই আইনের বিধানগুলি পালন করিবার জন্য যে কার্যাবলী করা প্রয়োজন সেইগুলি করিবার জন্য জন কর্ত্তপক্ষকে নির্দেশ দিতে পারেন, যথা -

(1 ) অনুরোধ অনুযায়ী কোন বিশেষ ফরমে তথ্য প্রদান

(2 ) কোন কেন্দ্রীয় বা রাজ্য জন তথ্য আধিকারিক নিয়োগ করা -

19 (8) (ক) (3) কোন তথ্য বা কোন কোন শ্রণীর তথা প্রকাশ করা

ক (4) ইহার রেকর্ডের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা বা ধ্বংস প্রক্রিয়া সংক্রান্ত পদ্ধতিতে প্রয়োজন ভিত্তিক পরিবর্তন সাধন করা।

ক (5 ) তথ্যের আধিকার সম্বন্ধে ইহার কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার উন্নয়ন

ক (6) 4 (1) (খ) ধারানুসারে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রদান,

(খ) অভিযোগকারীকে কোন লোকসান বা ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ করিবার জন্য জন কর্ত্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে পারেন।

(গ) এই আইনের বিধান অনুসারে শাস্তির আদেশ দিতে পারেন

(খ) আপীল খারিজ করিতে পারেন

(9) সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশন অভিযোগকারী ও জন কর্ত্তৃপক্ষকে ইহার সিদ্ধান্ত ও তাহার বিরুদ্ধে আপীলের অধিকারের বিষয় নোটিশ দ্বারা জানাইয়া দিবেন।

(10) সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশন নির্দ্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে আপীলের নিষ্পত্তি করিবেন।

20 (1) যে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশন, কোন অভিযোগ বা আপীলের উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এই মত পোষণ করেন যে কেন্দ্রীয় জনতথ্য আধিকারিক বা রাজ্য জন তথ্য আধিকারিক কোন সঙ্গত কারণ ছাড়াই, তথ্যের জন্য কোন আবেদন পত্র গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিয়াছেন অথবা 7 (1) ধারা অনুসারে নির্দ্ধারিত সময় সীমার মধ্যে তথ্য প্রদান করেন নাই, অথবা অসদুদ্দেশ্য প্রণোদিত হইয়া তথ্য প্রদানের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন অথবা অনুরোধের বিষয়ভুক্ত তথ্য ধ্বংস করিয়াছেন বা তথ্য প্রদানের কোনোভাবে বাধাসৃষ্টি করিয়াছেন, সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিশন যতদিন ঐ আবেদন গ্রহণ না করা হয় বা তথ্য প্রদান না করা হয়, ততদিনের জন্য দৈনিক 250 টাকা ( দুই শত পঞ্চাষ টাকা ) হারে তাঁহার জরিমানা ধার্য করিবেন, অবশ্য জরিমানার মোট পরিমান পঁচিশ হাজার টাকার অধিক হইবে না। ইহা এই শর্ত সাপেক্ষ যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য জনতথ্য আধিকারিককে জরিমানা করিবার পূর্বে তাঁহার বক্তব্য পেশের যুক্তিযুক্ত সুযোগ দিতে হইবে।ইহা আরও একটি শর্তসাপেক্ষ যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য জন তথ্য আধিকারিক যে ন্যায় সংগত ভাবে ও অধ্যবসায় সহকারে স্বীয় কার্য্য করিয়াছিলেন তাহা প্রমাণ করিবার দায় সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের উপর বার্তাইবে।

20 (2) যেখানে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশন কোন অভিযোগ বা আপীলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এই মত পোষণ করিবেন যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় জনতথ্য আধিকারিক বা রাজ্য জন তথ্য আধিকারিক কোন ন্যায়সংগত কারণ ব্যতিরেকে ক্রমাগত তথ্যের জন্য আবেদন লইতে ব্যর্থ হইয়াছেন অথবা 7 ( 1 ) ধারায় নির্দ্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য প্রদান করেন নাই, অথবা অসদুদ্দেশ্য প্রণোদিত তথ্যের জন্য আবেদন প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন অথবা নিজের জ্ঞাতসারে ভুল, অসম্পূর্ণ বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করিয়াছেন অথবা আবেদনের বিষয়ভুক্ত তথ্য ধ্বংস করিয়াছেন অথবা তথ্য পরিবেশনে কোন প্রকারে বাধার সৃষ্টি করিয়াছেন, সেই ক্ষেত্রে কমিশন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় জনতথ্য আধিকারিক বা রাজ্য জন তথ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে তাঁহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কৃত্যকবিধি অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সুপারিশ করিবেন।

অধ্যায় – 6


21. সরল বিশ্বাসে কাজের জন্য রক্ষা কবচ এই আইনের বিধানধীনে এবং এই আইনের অধীনের প্রণীত নিয়মাবলীর অধীনে কোন ব্যক্তি সরল বিশ্বাসে কোন কার্য করিয়া থাকিলে অথবা করিতে চাহিলে তাহার বিরুদ্ধে কোন মামলা, অভিযোগ বা আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।

22. আইনের উপর এই আইনের প্রাধান্য মন্ত্রগুপ্তি আইন 1923, বর্ত্তমান সময়ে চালু থাকা অন্য যে কোন আইন, অথবা এই আইন ছাড়া অন্য যে কোন আইনের বলে সৃষ্ট কোন দলিলের কোন বিধানের বৈপরীত্ব সত্ত্বেও এই আইনের বিধানগুলির কার্যকারিতা বজায় থাকিবে।

23. এই আইন অনুসারে দেওয়া কোন আদেশের বিরুদ্ধে কোন আদালত কোন মামলা, আবেদন বা আইনানুগ অন্য কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন না এবং এইরূপ কোন আদেশের বিরুদ্ধে এই আইনানুসারে নির্দিষ্ট আপীল ছাড়া অন্য কোনভাবে প্রশ্ন তোলা যাইবে না।

24 (1) এই আইনের কোন বিধান দ্বিতীয় তফশিলে বর্ণিত কেন্দ্রীয় সরকার কর্ত্তৃক স্থাপিত কোন গুপ্তবার্তা বা নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অথবা উক্ত সরকারকে তাহাদের দ্বারা প্রদত্ত কোন তথ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

ইহা এই শর্তসাপেক্ষ যে দুর্ণীতি বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য এই উপ ধারামতে বাদ দেওয়া যাইবে না। ইহা আরও এই শর্তসাপেক্ষ যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে, ঐ তথ্য কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের অনুমোদন ক্রমেই দেওয়া যাইবে এবং 7 ধারার বিধান সত্ত্বেও ঐ তথ্য আবেদনপত্র প্রাপ্তির তারিখ হইতে 45 দিনের মধ্যে দেওয়া হইবে।

24 (2) সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপনের দ্বারা কেন্দ্রীয় সরকার তাহাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নতুন কোন গুপ্ত সংস্থা বা নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের নাম তফশিলে অর্ন্তভুক্ত করিয়া বা ঐ তালিকাভুক্ত কোন নাম বাদ দিয়া উহা সংশোধন করিতে পারেন এবং ঐ প্রজ্ঞাপন প্রচলিত হইবার পর ঐ প্রতিষ্ঠান ঐ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী উক্ত তালিকাভুক্ত বলিয়া বা তালিকা বর্হিভূত বলিয়া বিবেচিত হইবে।

24 ( 3) (2) উপ ধারামতে প্রজ্ঞাপন সংসদে উভয় কক্ষে পেশ করিতে হইবে।

24 (4) অত্র আইনের কোন বিধান রাজ্য সরকার প্রতিষ্ঠিত এমন কোন গুপ্তসংস্থা বা নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না যেগুলি রাজ্য সরকার বিভিন্ন সময়ে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশেষিত করিবেন।

ইহা এই শর্তসাপেক্ষ যে দুর্নীতি বা মানবধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য এই উপ ধারামতে বাদ দেওয়া যাইবে না। ইহা আরও এই শর্তসাপেক্ষ যে মানবাধিকার লঙ্ঘেনের অভিযোগ সংক্রন্ত তথ্যের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে ঐ তথ্য কেবলমাত্র রাজ্য তথ্য কমিশনের অনুমোদন ক্রমেই দেওয়া যাইবে এবং 7 ধারার বিধান সত্ত্বেও ঐ তথ্য আবেদনপত্র প্রাপ্তির তারিখ হইতে 45 দিনের মধ্যে দেওয়া হইবে।

24 (2) সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপনের দ্বারা কেন্দ্রীয় সরকার তাহাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নতুন কোন গুপ্তসংস্থা বা নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের নাম তফশিলে অর্ন্তভুক্ত করিয়া বা ঐ তালিকাভুক্ত কোন নাম বাদ দিয়া উহা সংশোধন করিতে পারেন এবং ঐ প্রজ্ঞাপন প্রচলিত হইবার পর ঐ প্রতিষ্ঠান ঐ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী উক্ত তালিকাভুক্ত বলিয়া বা তালিকা বহির্ভুত বলিয়া বিবেচিত হইবে।

24 (3 ) (2) উপধারামতে প্রজ্ঞাপন সংসদের উভয় কক্ষে পেশ করিতে হইবে।

24 (4) অত্র আইনের কোন বিধান রাজ্য সরকার প্রতিষ্ঠিত এমন কোন গুপ্ত সংস্থা বা নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না যেগুলি রাজ্য সরকার বিভিন্ন সময়ে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশেষিত করিবেন।

ইহা এই শর্তসাপেক্ষ যে দুর্নীতি বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য এই উপ ধারামতে বাদ দেওয়া যাইবে না। ইহা আরও এই শর্তসাপেক্ষ যে মানবধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে ঐ তথ্য কেবলমাত্র রাজ্য তথ্য কমিশনের অনুমোদন ক্রমেই দেওয়া যাইবে এবং 7 ধারার বিধান সত্ত্বেও ঐ তথ্য আবেদনপত্র প্রাপ্তির তারিখ হইতে 45 দিনের মধ্যে দেওয়া হইবে।

24 (5 ) (4) উপধারা অনুসারে প্রজ্ঞাপন বিধান সভায় পেশ করিতে হইবে।

25 (1) প্রতি বত্সরান্তে যথাসম্ভব সত্বর কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন বা রাজ্য তথ্য কমিশন, যথা প্রাসঙ্গিক, ঐ বত্সর কালে এই আইনের বিধানগুলির রূপায়ণ সম্বন্ধে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করিবেন এবং উহার একটি প্রতিলিপি নির্দিষ্ট সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন।

(2) প্রত্যেক মন্ত্রনালয় বা দপ্তর তাহাদের আওতাভুক্ত জন কর্ত্তৃপক্ষগুলির সম্বন্ধে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য কমিশনের এই ধারা অনুযায়ী প্রতিবেদন প্রস্তুত করিবার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করিয়া দিবেন এবং ওই তথ্য যোগানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল নির্দেশ পালন করিবেন এবং এই ধারার উদ্দেশ্যে সঙ্গতি সূচকভাবে রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন।

25 (3) যে বত্সর সম্পর্কে এই প্রতিবেদন, সেই বত্সর সম্পর্কে ইহাতে বলা থাকিবে -

(ক) প্রতি জন কর্ত্তৃপক্ষের নিকট তথ্যের জন্য আবেদনের সংখ্যা

(খ) যে সকল ক্ষেত্রে আবেদনকারী রেকর্ডে রক্ষিত তথ্যে প্রবেশাধিকারী বলিয়া বিবেচিত হন নাই, তাহার সংখ্যা, এই আইনের কোন ধারা বলে এই সিদ্ধান্তগুলি লওয়া হইয়াছিল এবং কতবার সেই বিধানগুলির প্রয়োগ করা হইয়াছিল,

(গ) কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশনের নিকট পুনঃপরীক্ষার জন্য আপীলের সংখ্যা আপীলের বিষয়বস্তুর ধরণ এবং আপীলের ফলাফল

(ঘ) এই আইন প্রয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত শান্তিমূলক ব্যবস্থা কোন আধিকারিকের বিরুদ্ধে লওয়া হইয়া থাকিলে, তাহার বিবরণ,

(ঙ) এই আইন অনুসারে প্রত্যেক জনকর্ত্তৃক আদায়ীকৃত অর্থের পরিমান,

(চ) এইরূপ ঘটনাবলীর বিবরণ যাহা জন-কর্ত্তৃপক্ষগুলির এই আইনের উদ্দেশ্য ও মূল নীতির সংগতিসূচক প্রয়োগ ও রূপায়ণের প্রচেষ্টার ইঙ্গিতবাহী,

(ছ) উন্নয়ন, বিকাশ বা আধুনিকীকরণের জন্য সংশোধনের সুপারিশ, বিশেষ বিশেষ জন কর্ত্তৃপক্ষের জন্য বিশেষ সুপারিশ, এই আইন, অন্য আইন বা সাধারণ আইনের সংশোধন বা পরিবর্ত্তন এবং তথ্যের অধিকার প্রয়োগে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে এমন অন্য যে কোন বিষয়।

25 (4) বত্সরাম্ভে, যতশীঘ্র সম্ভব, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার (1) উপ ধারানুসারে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশনের প্রতিবেদন প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে সংসদের উভয় কক্ষে, যেখানে রাজ্য বিধান মন্ডলীর দুইটি কক্ষ আছে, যেখানে উভয় কক্ষে ও যেখানে রাজ্য বিধান মন্ডলীর একটিই কক্ষ আছে, সেই কক্ষে, পেশ করিবেন।(5) কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশনের যদি এই ধারণা হয় যে কোন জন কর্ত্তৃপক্ষের এই আইন সংক্রান্ত কর্ম পদ্ধতি এই আইনের বিধান বা মূল নীতির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট কমিশন সেই জন কর্ত্তৃপক্ষকে ইহার মতে কার্যপদ্ধতি নিয়মানুগ করার জন্য কি ব্যবস্থা অবশ্য অবলম্বনীয় তাহা সুপারিশ করিতে পারেন।

26 (1) সংশ্লিষ্ট সরকার আর্থিক এবং অন্যান্য সামর্থের সীমার মধ্যে -

(ক) অধিকারের কথা চিন্তা করিয়া এই আইন করা হইয়াছে, সেই সম্বন্ধে জনসাধারণ, বিশেষত অনুন্নত সম্প্রদায়ের মানুষের চিন্তার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে শিক্ষা মূলক কার্যসূচী সংগঠিত ও সম্প্রসারিত করিবেন।

(খ) জন কর্ত্তৃপক্ষদের (ক) দফায় উল্লেখিত কার্যসূচী রূপায়নে এবং সম্প্রসারণে অংশগ্রহণে উত্সাহিত করিবেন এবং নিজেরা এই ধরণের কার্যসূচী গ্রহণ করিবেন।

(গ) জন কর্ত্তৃপক্ষদের কার্যাবলীর সঠিক তথ্য কার্যকর ও বিস্তৃতভাবে প্রচার করিবেন এবং যথাসময়ে তাহার উন্নতি বর্ধনে তত্পর হইবেন।

26 (ক) জন কর্ত্তৃপক্ষদের কেন্দ্রীয় জনতথ্য আধিকারিক বা রাজ্য জন তথ্য আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দিবেন এবং জন কর্ত্তৃপক্ষদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণ সামগ্রী তৈয়ারী করিবেন।

26 (2) এই আইন চালু হইবার 18 মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সরকার ইহার স্বীকৃত ভাষায় এই আইনে বিশেষিত অধিকার প্রয়োগের জন্য কোন ব্যক্তির যে সকল তথ্য জানা প্রয়োজন, সেইসব তথ্য সম্বলিত একটি সহজবোধ্য নির্দেশগ্রন্থ সংকলন করিবেন।

( 3) প্রয়োজন হইলে যথাযোগ্য সরকার (2) উপ ধারায় উল্লেখিত নির্দেশগ্রন্থ নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে হালনাগাদ করিয়া প্রকাশ করিবেন, ( 2 ) উপ ধারার বিধানের সাধারণভাবের হানি না করিয়া ইহা বিশেষিত হইতেছে যে ইহাতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উল্লেখ করিতে হইবে -

( ক ) এই আইনের উদ্দেশ্য

( খ ) ( 5 ) উপধারা অনুসারে নিযুক্ত প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় জন তথ্য আধিকারিক বা রাজ্য জনতথ্য আধিকারিক ডাক-ঠিকানা, ফোন ও ফ্যাক্স নম্বর, এবং প্রাপ্তি সাধ্য হইলে, 5 ( 1 ) ধারা অনুসারে নিযুক্ত প্রত্যেক জন কর্ত্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বা রাজ্য জন তথ্য আধিকারিকের ই- মেইল ঠিকানা

26 ( 3 ) (গ ) সংশ্লিষ্ট তথ্যের জন্য আবেদন কি ভঙ্গীতে এবং কি ফরমে কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য জনতথ্য আধিকারিকের নিকট করিতে হইবে তাহার নির্দেশ,

( ঘ ) এই আইন মোতাবেক কোন জন কর্ত্তৃপক্ষের, যথা প্রাসঙ্গিক কেন্দ্রীয় বা রাজ্য জন তথ্য আধিকারিকের কর্ত্তব্য এবং তাহার নিকট প্রাপ্তব্য সহায়তার বিবরণ,

( ঙ ) কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন বা রাজ্য তথ্য কমিশনের নিকট কি সহায়তা পাওয়া যাইতে পারে, তাহার বিবরণ।

( চ ) এই আইন অনুসারে স্বীকৃত কোন অধিকার প্রয়োগের ব্যাপারে বা এই আইনে আরোপিত কোন কর্ত্তব্য পালনে কৃতকর্মের জন্য বা ব্যর্থতার জন্য আইনানুগ প্রতিবিধানের যাবতীয় উপায় এবং কমিশনের নিকট আপীল দাখিল করিবার পদ্ধতি।

( ছ ) 4 ধারা অনুসারে বিভিন্ন শ্রেণীর রেকর্ডের স্বেচ্ছা প্রকাশ সংক্রান্ত বিধানসমূহ.

( জ ) তথ্য পাইবার অধিকার প্রয়োগের আবেদনের জন্য প্রদেয় ফি এর সম্বন্ধে বিজ্ঞপ্তিগুলি।

( ঝ ) এই আইন অনুসারে তথ্য পাইবার সহিত সম্পর্কিত অন্য কোন রেগুলেশন বা প্রচার বিজ্ঞপ্তি জারি হইয়া থাকিলে, তাহা,

( ঞ ) প্রয়োজন হইলে যথোচিত সরকার নিয়মিত সময়ের অন্তরে নির্দেশিকা হালনাগাদ করিয়া প্রকাশ করিবেন।

27 (1 ) এই আইনের উদ্দেশ্য কার্যকরী করিতে সংশ্লিষ্ট সরকার সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা নিয়মাবলী প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

( 2 ) উপরিউক্ত ক্ষমতাবলীর সঠিক প্রয়োগের প্রয়োজনও সঙ্গতি পূর্ণভাবে এই নিয়মাবলীকে নিম্নোক্ত যে কোন অথবা সকল বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া যাইবে,

( ক) ধারানুসারে যে বিষয়বস্তু প্রচার করিতে হইবে, তাহার প্রকাশ মাধ্যমের বা মুদ্রণের ধার্য্য ব্যয়

( খ ) 6 ( 1 ) ধারানুসারে প্রদেয় ফি।

( গ ) 7 ( 1 ) ও 7 ( 5 ) ধারানুসারে প্রদেয় ফি।

( ঘ ) 13 (6) ধারা ও 16 (6) ধারানুসারে নিযুক্ত আধিকারিক বা কর্মচারীবর্গের বেতন, ভাতা ও চাকুরির শর্তাবলী

( ঙ ) 19 ধারার ( 1 ) উপধারা অনুসারে আপীলের শুনানী ও সিদ্ধান্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন বা রাজ্য তথ্য কমিশনের অবলম্বনীয় পদ্ধতি।

( চ ) অন্য যে কোন বিষয় যাহা পরে নিদের্শিত হইবে বা হইতে পারে

28 (1 ) এই আইনের উদ্দেশ্য কার্যকর করিতে যোগ্য কর্ত্তপক্ষ সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নিয়মাবলী প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

( 2 ) উপরিউক্ত ক্ষমতার সার্বিক প্রয়োগে বিঘ্ন সৃষ্টি না করিয়া ইহা বিশেষভাবে বলা হইয়াছে যে এই নিয়মাবলীতে নিম্নোক্ত সকল বিষয়ে বা যে কোন বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া যাইবে যথা –

( ক ) 4 ( 4 ) ধারানুসারে যে বিষয়বস্তু প্রচার করিতে হইবে তাহার প্রকাশ মাধ্যম জনিত বা মুদ্রণ মূল্য জনিত ব্যয়

( খ ) 6 ( 1 ) ধারানুসারে প্রদেয় ফি,

( গ ) 7 ( 1 ) ধারানুসারে প্রদেয় ফি,

( ঘ ) অন্য যে কোন বিষয় যাহা পরে নির্দিষ্ট হইবে বা হইতে পারে।

29 (1) কেন্দ্রীয় সরকার কৃত এই আইনের অধীনে প্রণীত প্রত্যেক নিয়মাবলী উহা প্রণয়নের পর যথাসম্ভব সত্বর সংসদের অধিবেশন চলাকালীন উহার উভয় কক্ষে এক বা একাধিক উপর্য্যুপরি অধিবেশনে মোট ত্রিশ দিনের মধ্যে পেশ করিতে হইবে এবং সংসদের কোন অনুরূপ অধিবেশনে বা তাহার ঠিক পরবর্ত্তী অধিবেশনে যদি সংসদের উভয়সভা ঐ নিয়মাবলী পরিবর্ত্তনে সহমত হন বা এই মর্মে একমত হন যে প্রণীত নিয়মাবলী করা উচিত নয়, তাহা হইলে তদনুযায়ী ঐ নিয়মাবলী ঐরূপ পরিবর্তিত আকারে বলবত থাকিবে বৈধ্যতা ঐ পরিবর্ত্তন বা নাকচ হওয়ার জন্য ক্ষুন্ন হইবে না।

( ২ ) রাজ্য সরকার কর্ত্তৃক এই আইনের অধীনে প্রণীত নিয়মাবলী প্রজ্ঞাপিত হইবার পর যত শীঘ্র সম্ভব রাজ্য বিধানমন্ডলের পেশ করিতে হইবে।

30 (1) এই আইনের বিধানগুলিকে কার্যকর করিতে যদি অসুবিধার সৃষ্টি হয়, তাহা হইলে কেন্দ্রীয় সরকার, সেই অসুবিধা দূরীকরণের জন্য সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ বলে এই আইনের সহিত অসমাঞ্জস্যবিহীন এমন বিধান দিতে পারিবেন যাহা তাহাদের বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ও সুবিধাজনক।

ইহা এই শর্ত সাপেক্ষ যে এই আইন কার্যকরী হইবার তারিখ হইতে দুই বত্সর সময়সীমা অতিবাহিত হইবার পর এইরূপ কোন আদেশনামা জারি করা যাইবে না।

( 2 ) এই ধারা অনুসারে জারি করা প্রতিটি আদেশনামা আদেশজারি হইবার পর যথাসম্ভব শীধ্র সংসদের প্রতিটি কক্ষে পেশ করিতে হইবে।

31. 2002 সালের তথ্যের স্বাধীনতা আইন এতদ্বারা নিরসিত হইল.


TAGS

Bengali nibandh on Suchana Ka Adhikar , quotes Suchana Ka Adhikar in Bengali, Suchana Ka Adhikar Bengali meaning, Suchana Ka Adhikar Bengali translation, Suchana Ka Adhikar Bengali pdf, Suchana Ka Adhikar Bengali, Bengali poems Suchana Ka Adhikar , quotations Suchana Ka Adhikar Bengali, Suchana Ka Adhikar essay in Bengali font, health impacts of Suchana Ka Adhikar Bengali, Bengali ppt on Suchana Ka Adhikar , Suchana Ka Adhikar the world, essay on Suchana Ka Adhikar in Bengali, language, essay on Suchana Ka Adhikar , Suchana Ka Adhikar in Bengali, essay in Bengali, essay on Suchana Ka Adhikar in Bengali language, essay on Suchana Ka Adhikar in Bengali free, formal essay on Suchana Ka Adhikar , essay on Suchana Ka Adhikar in Bengali language pdf, essay on Suchana Ka Adhikar in Bengali wikipedia, Suchana Ka Adhikar in Bengali language wikipedia, essay on Suchana Ka Adhikar in Bengali language pdf, essay on Suchana Ka Adhikar in Bengali free, short essay on Suchana Ka Adhikar in Bengali, Suchana Ka Adhikar and greenhouse effect in Bengali, Suchana Ka Adhikar essay in Bengali font, topic on Suchana Ka Adhikar in Bengali language, Suchana Ka Adhikar in Bengali language, information about Suchana Ka Adhikar in Bengali language essay on Suchana Ka Adhikar and its effects, essay on Suchana Ka Adhikar in 1000 words in Bengali, essay on Suchana Ka Adhikar for students in Bengali, essay on Suchana Ka Adhikar for kids in Bengali, Suchana Ka Adhikar and solution in Bengali, Soochana Ka Adhikar kya hai in Bengali, Suchana Ka Adhikar quotes in Bengali, Suchana Ka Adhikar par anuchchhed in Bengali, Suchana Ka Adhikar essay in Bengali language pdf, Suchana Ka Adhikar essay in Bengali language, rti act in Bengali, rti act application form in Bengali, right to information act 2005 in Bengali, rti act 2005 rules in Bengali, right to information act Bengali, rti act 2005 application form in Bengali, suchna ka adhikar application form in Bengali download, rti act 2005 rules in Bengali, rti appeal application form in Bengali pdf


Posted by
Get the latest news on water, straight to your inbox
Subscribe Now
Continue reading